ওহো, ছলিম চাচার চায়ের দোকানের আড্ডাটা তো পুরা জাতীয় সম্মেলনের মতো জমে উঠছে! চাচা, পেপারে খবর পড়ছেন আর ঈদের দিনের গোস্তের হিসাব দিচ্ছেন—কেজি খানেক গোস্ত খাইয়া নাকি আর পারেন নাই! আরে চাচা, এই বয়সে কেজি খানেক গোস্তই তো একটা জাতীয় রেকর্ড, এইটা NCTB-র বইয়ে না ছাপাইলে কি ছাপাবে?
তা, দ্যাশের খবরে যাই। NCTB নাকি বই সংশোধনের নামে ১০০ কোটি টাকা গিলে ফেলছে, আর কাজ পাইছে লীগের মন্ত্রীর ভাই, সাবেক চেয়ারম্যান। এইটা শুনে চাচা তো ফিলোসফার মোডে চলে গেলেন—বলেন, “চুরি না হইলে বড়লোক হওয়া যায় নাকি? এইডাই তো প্যাক্টিকাল শিক্ষা!” চাচার প্রস্তাব, NCTB-র বইয়ে একটা নতুন চ্যাপ্টার যোগ করা উচিত: “কীভাবে সব সেক্টর থেকে চুরি করবেন: একটি কারিগরি গাইড।” সিলেবাসে থাকবে—টেন্ডার দখল ১০১, বাজেট গায়েবের কৌশল, আর কীভাবে “সংশোধনের” নামে ভল্ট খালি করতে হয়।
শুনে আমার মাথা ঘুরে গেল। বললাম, “চাচা, চা খান, এত দার্শনিক কথা বইলেন না, চা ঠান্ডা হইয়া যাবে!” কিন্তু মনে মনে ভাবছি, এই দ্যাশে চা-ই বোধহয় একমাত্র জিনিস, যেটার দাম এখনো সৎভাবে বাড়ে।
0 coment rios: